
প্রকাশিত: Sat, Jan 14, 2023 3:38 PM আপডেট: Sun, May 11, 2025 3:25 AM
কীভাবে এলিটদের সঙ্গে লড়াই করতে হয়?
ব্রাত্য রাইসু
গরিব বা মিডলক্লাস যে আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন হয় এবং এই জিনিসরে সাজাইয়া গোছাইয়া জীবনের ধন কইরা রাখে, এইটার একটা বড় কারণ হইল বড়লোকের অহঙ্কার নামক অবজ্ঞা বা গরিবকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ না করার প্রতিজ্ঞা। বড়লোকের অহঙ্কার, ঠাট, অবজ্ঞা ইত্যাদিরে হজম না করতে গিয়া যেহেতু গরিব বা মিডলক্লাস মনে করে তার কোনো টুল নাই তাই সে লড়াই করতে রাজি হয় না। সে আত্মসম্মানবোধ নামক মুদ্রাব্যবস্থার দ্বারস্থ হয়। সে বড়লোকের কাছে নিজের দাম হিসাবে তার আত্মসম্মানবোধরে উপস্থাপন করতে চায়, বিক্রি করতে বা ভাড়া দিতে চায়।
তার আর্টরে তুইলা ধরে বড়লোকের ড্রইং রুমে, অফিসে, বা কোনো বারে। সে বলে আমি গরিব হইতে পারি, কিন্তু আর্টিস্ট, হাঃ হাঃ। কারে বলে? না, আরেক গরিবরে সে এইটা বলে না। বলে, বড়লোকের কানে। তখন বড়লোক বলে, ঠিকই বলছেন আপনিও আর্টিস্ট আমিও আর্টিস্ট। এই চাকর নাকি ওয়েটার, তুমি চা নাকি মদ দিবা দেও আমাদের, আমরা আর্টিস্ট। তখন আর্টিস্ট না এমন একটা গরিব রোবট তাদের চা আইনা দেয়। তখন দুই আর্টিস্টের একজন, অবশ্যই গরিবজন, বড়লোকজনের প্রশংসা কইরা বলে, আপনার আর্ট খুবই মহৎ। তখন বড়লোক আর্টিস্ট বলে, আসেন আমরা মদ খাই। আপনার বাসায় মদ আছে। গরিব বলে, না নাই।
কিন্তু বড়লোক কখনোই গরিবের আর্ট লইয়া কিছু বলে না। চা দিয়া গেছে যেই চাকর বা ওয়েটার সেও গরিব আর্টিস্টের আর্ট লইয়া কিছু বলে না। তখন দ্বিতীয় বার যখন সাক্ষাৎ হয় এবং সে আলাপেও যখন গরিব আটিস্ট বড়লোক আর্টিস্টের একই প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়, তখন বড়লোক আর্টিস্ট বলে, আপনি তো আগের দিন একই প্রশংসা করলেন। এইবার নতুন কিছু বলেন, নাইলে চা দিমু না, মদ দিমু না। তখন গরিব আর্টিস্ট আর কী করবে, সে নিজের আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন ছিঁড়া কাঁথার তৈরি আপন ঘরে ফিরা আসে। তথাপি সে লড়াই করতে রাজি হয় না।
কারণ সে জানেই না, কীভাবে এলিটদের সঙ্গে লড়াই করতে হয়। সে শুধুই বিরোধিতা, ঈর্ষা, হিংসা, হীনম্মন্যতা ইত্যাদি করে। এর বাইরে সে যা করে তা হইল, তার গর্বিত আত্মসম্মানবোধ লইয়া অন্য আত্মসম্মানবোধ সম্পন্নদের সঙ্গে একই আলাপ বছরের পর বছর ধইরা করতে থাকে, যে, এলিটদের হাতে শিল্প-সাহিত্য ছাইড়া দেওয়া যাবে না। কিন্তু কী বালটা তারা ফেলবে সেও তারা ঠিক করতে পারে না। ফলে তাদের আত্মসম্মানবোধ নামক অভিনয়টা যে আসলে আত্মসম্মানবোধও হইয়া ওঠে না, বরং গৃহীত হওয়ার অভিলাসই থাইকা যায়, তা তারা বুঝতেও পারে না। লেখক: কবি
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
